Facebook prem | bangla love story| bangla story | bangla golpo | bangla romantic story


সকাল বেলা ফোন টা হাতে নিয়ে ফেইবুকিং করছিল
সাইম।
এমন সময় ফেবুতে একটা ম্যাসেজ আসলো,
আইডির নাম সাদা পরি
_অই কুত্তা, আমার ফোন ধরিস না
কেন?(সাদা পরি)
Facebook prem | bangla love story| bangla story | bangla golpo | bangla romantic story
ম্যাসেজ টা দেখে সাইম অবাক হয়ে
গেল।
একে তো অপরিচিত লোক তার উপর আবার আইডির নাম দেখে মনে হচ্ছে এটা মেয়েলী
আইডি।
সাইম কি রিপ্লে দিবে তা ভেবে পাচ্ছিল
না।
এমন পরিস্থিতিতে সাইম কোনদিন পড়ে
নি।

.
কি মনে সাইম রিপ্লে দিল,
_আপনি কে ভাই?(সাইম)
_ মানে কি?
_আপনি কে, আপনাকে তো আমি চিনি
না।
_তুই আমার সাথে এমন করছিস কেন
বলতো? সরি বলেছি তো অনেক বার।
_ ধুর আপনি কে সেটা বলেন না
কেন?
_তুই রুবি না?
_না আমি রুবি না।
আমার নাম সাইম।
_উফ সরি ভাইয়া আসলে আমার ভুল হয়ে
গেছে
আমি মনে করেছিলাম এটা আমার বান্ধবী রুবির আইডি।
_ঠিক আছে, কোন প্রব্লেম নেই।
কিন্তু এই রুবি কে?
_রুবি হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ।

_ তা কি হয়েছে আপনাদের মধ্য সেটা কি জানতে পারি।
_আসলে তেমন কিছু না।
একটু রাগারাগি হইছে।
_ওহ।
_কিন্তু একটা কথা বলি?
_জি বলুন।
_আমি রুবির নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলাম কিন্তু আপনার আইডি আসলো কেন?
_ওর নাম্বার দিয়ে আইডি খোলা তাই।
_আপনি কে হোন ওর।
_আমি ওর বড় ভাই।
_ওহ, ভাইয়া রুবিকে একটু বুঝিয়ে বলবেন যাতে ও আমার সাথে আবার আগের মত কথা বলে।
_আচ্ছা
_বাই ভাইয়া ভাল থাকবেন।
_হুম বাই।
.
ছেলে টার নাম সাইম।
ছেলেটা অনেক ভাল।
অনেক যোগ্যতা আছে।
তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে সে এমবিবিএস করা ছেলে।
এমবিবিএস মানে আপনারা কি বুঝেছেন সেটা জানি না।
এমবিবিএস মানে হলো মা বাবার বেকার সন্তান।
একটু ভাল করে বুঝিয়ে দেই আপনাদের।
এম থেকে মা, বি থেকে বাবা, বি থেকে বেকার, আর এস থেকে সন্তান।
লেখাপড়া বছর দুয়েক হলো শেষ করেছে এখন বেকার বসে আছে।
.
আর মেয়ে টার নাম পরি।
অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী।
লেখাপড়ায় খুব মেধাবী।
আর
পরি রুবি নামের একটা মেয়ের কথা বলছিল ওই টা সাইম এর ছোট বোন।
কিছুদিন আগে রুবি আর পরি মাঝে একটু কথা কাটাকাটি হয়, আর তাতেই রুবি রাগ করে পরির সাথে কথা বলে না।
পরি রুবির রাগ ভাঙানোর জন্য ওর নাম্বারে ফোন দেই কিন্ত রুবি ফোন ধরছিল না।
তাই পরি ওর ফেবু আইডি ম্যাসেজ দেই।
তখন ওই আইডি চলাচ্ছিল সাইম।
আপনাদের বলে রাখি অই আইডি টা ওরা দুই ভাইবোন ব্যবহার করে।
.
সাইম রুবির কাছে গেল।
_অই তোর কোন বান্ধবীর সাথে কি হয়েছে?
_তোকে কে বলল?
_তোর বান্ধবী।
_মানে।
_ফেবু তে দেখ।
.
রুবি তাড়াতাড়ি ফেবু তে ঢুকলো।
_তুই ওর সাথে কথা বলেছিস।
_হুম বলেছি।
_কেন কথা বললি।
_ম্যাসেজ দিল তাই রিপ্লে দিলাম।
_ম্যাসেজ দিলেই রিপ্লে দিতে হবে নাকি।
_আমার ইচ্ছা হয়ছে দিছি।
মেয়েটার নাম কি?
_কেন তোকে বলে নি?
_জিজ্ঞাসা করি নি।
_ওহ।
_বল
_রুমা আক্তার পরি।
_সুন্দর।
_কি সুন্দর।
_নাম সুন্দর।
_ও কিন্তু দেখতেও অনেক সুন্দর।
_তাই নাকি। পিক আছে তোর কাছে।
_হুম।
_দেখা তো।
_এই দেখ।
.
মেয়েটা দেখতে খুব সুন্দর।
যেমন চেহারা তেমন কাজল কালো
দুচোখ।
প্রেম করার জন্য একদম পারফেক্ট।
প্রথম দেখাতেই রুমার প্রেমে পড়ে গেল সাইম।
এক নজরে রুমার ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাং কানের ওই ভাইয়া বলে জোরে চিৎকার দিল রুবি।
_কিরে এমন চিৎকার করলি কেন?
_তুই অমন করে কি দেখছিলি।
_দেখছিলাম মেয়ে টা কেমন।
_তা কেমন মনে হলো।
_নামটা পরি হলেও চেহারা টা পেত্নির মতো।(যদি ও চেহারা টা খারাপ না, আসলেই পরির মতন।
তাও মিথ্যা বললাম, কারন মেয়েদের বেশি প্রসংশা করতে নেই)
_তাই তাহলে হা করে তাকিয়ে ছিলি কেন?
_এমনি।
আচ্ছা হবে তো।
_কি হবে।
_লাইন।
_ভাল করে বল।
_মানে আমার সাথে কেমন মানাবে।
_ ভালই মানাবে।
_লাইন করিয়ে দে না।
  _ওকে চেষ্টা করতে পারি।
তবে
_তবে কি
_কিছু। এখন এক হাজার টাকা দে।
_টাকা দিয়ে কি করবি?
_দিবি কিনা বল।
_না।
_তাহলে আমি তোর সাথে নাই
_আরে না এই আমার লক্ষি আপু।
_হুম
_আচ্ছা।
বাই।
_অই কই যাচ্ছিস।
_ভাবি কে নিয়ে খাইতে যাবো।
_আমার ব্যবস্থা টা তাড়াতাড়ি করে দিস আপু।
_আচ্ছা পরে দেখবো।
.
অই দিনের পর থেকে পরি আর সাইমের কথা বলা শুরু হয়।
আস্তে আস্তে কথা বলা বাড়তে থাকে।
প্রথমে ফেইসবুকে কথা বলা শুরু হলেও
এখন, ফোনে, ইমো তে কথা শুরু হয়।
দুজন দুজন কে ছাড়া এক মূহুর্ত্ব
থাকতে পারে না।
পরি ধীরে ধীরে সাইম কে ভালবেসে ফেলে কিন্তু সাইম কে তা বলে না।
পরি মনে করে এতে যদি সাইম বব্ধুর মত সম্পর্ক টা নষ্ট করে দেই।
আর এদিকে ও সাইম ওর ও একই
অবস্থা।
.
একদিন, পরি এক বন্ধুর বুদ্ধিতে ফেইসবুকে
রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেই।
এটা দেখে সাইম খুব কষ্ট পাই কিন্তু কিছু বলে না।
শুধু
কংগ্যাচুলেশন লিখে কমেন্ট করে।
তারপর থেকে আইডি ডিএক্টিভ করে
দেই।
ভাল থেকো সারাজিবন লিখে পরির নাম্বারে ম্যাসেজ দেই সাইম।
তারপর ফোন অফ করে দেই।
.
পরি মনে করেছিল এটা দেখে হয়তো সাইম তার মনের কথা বলবে।
এই ভেবে সে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিছিলো।
কিন্তু পরি যা ভেবেছিল তা হয়নি।
সাইম সেটা না করে,,, সেদিনই রাতে
অনেক গুলা ঘুমের বড়ি খেয়ে নিজে
কে
চিরতরে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নেই।
.
একসাথে অনেক ঘুমের বড়ি খাওয়ার পর সাইম এর অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে
পড়ে।
সাইম কে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রুবি ফোন করে পরি কে বলে,
_তোর ওই স্ট্যাটাস দেখে ভাইয়া অনেক গুলা ঘুমের বড়ি খেয়েছে।
_সাইম এখন কই।
_হাসপাতালে।
_কোন হাসপাতালে?
_কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে।
_তুই থাক আমি এক্ষনি আচ্ছি।
.
ফোন কেটে দিয়ে পরি হাসপাতালের উদ্দেশ্য বের হলো।
.
এদিকে ডাক্তার সাইম কে পরিক্ষা করছে।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে জানালো,
রোগী এখন মোটামুটি সুস্থ আছে।
আপনারা
তার কেবিনে যান।
.
কিছুক্ষন পর পরি হাসপাতালে পৌছে গেল।
এক দৌড়ে সাইম কে যে কেবিনে রাখা সেই কেবিনে চলে গেল।
.

গিয়ে দেখে সাইম কে বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে।
পরি গিয়ে ওর কাছে কাদতে কাদতে
বলল,
_আমাকে মাফ করে দাও।
আমি তোমাকে ভালবাসি।
_কিন্তু তুমি তো অন্য কাউকে ভালবাস।
আজ কে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস
দিলে।
_ওখানে কি কারোর নাম দিয়ে দিছি নাকি।
মনে করেছিলাম তুমি ওইটা দেখে আমাকে ভালবাসার কথা বলবা,
কিন্তু তা বলে উল্টা পাল্টা কাজ করলা।
_আমি কেন বলবো, তুমি বলতে পারো
না।
_না পারি না লজ্জা লাগে তো।
_এত লজ্জা পাইলে প্রেম পড়লে কেন?
_জানি না।
_বিয়ের পর সব লজ্জা ভেঙে দিবো।
_যা দুষ্ট।
.
.
এভাবে দুটি মন এক ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেল।





<<<<গল্পটি ভালো লাগলে অামাদের জানাতে ভুলবেন না>>>
           
           

Post a Comment

0 Comments